#রেসিডেন্সি_এবং_ডিপ্লোমা পরীক্ষা:

#রেসিডেন্সি_এবং_ডিপ্লোমা পরীক্ষা:

#FAQ: যে প্রশ্ন গুলো বার বার জানতে চায় চিকিৎসকরা।

১. #প্রাথমিক যোগ্যতা : MBBS/BDS পাশ হতে হবে। এবং পাশ করার পর ২ বছরের ব্যবধান থাকতে হবে।

২. #বয়স: সেশন শুরুর তারিখে  বয়স ৪৫ বছর বা তার কম হতে হবে । বেশি হলে অংশগ্রহণ করতে পারবেননা। 

৩. #রেসিডেন্সি: MS/MD
♣ সেশন শুরু: প্রতি বছর মার্চের ১ তারিখ
♣ পরীক্ষা হয়: পুর্বের বছর নভেম্বর মাসের কোন এক শুক্রবার। ( সাধারণত ২য় শুক্রবার) 
♣ ফলাফল প্রকাশ: পরীক্ষার দিন রাত ১২.০০ টায়
♣ মার্ক: ২০০ & সময় : ৩ ঘণ্টা।
♦ কোর্সের মেয়াদ : ৫ বছর।
( ব্যাসিক সাইন্স এন্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স ৩/৪ বছর)
আবেদন ফি: ৫০০০ টাকা।
সার্কুলার : সেপ্টেম্বর মাসের ৩য় সপ্তাহে ( ১৫ তারিখ বা তারপরে)

৪. #ডিপ্লোমা/ M Phill / MPH/M MED
♣ সেশন শুরু: জুলাই ১ তারিখ
♣ পরীক্ষা:  মার্চের ১ম/২য় সপ্তাহের শুক্রবার।
♣ মার্ক: ১০০ & সময়: ৯০ মিনিট
♦ কোর্সের মেয়াদ ২ বছর।
আবেদন ফি: ৫০০০ টাকা
সার্কুলার : জানুয়ারি মাসের ৩য় সপ্তাহে ( ১৫ তারিখ বা তারপরে)
ফলাফল : পরীক্ষার দিন রাত ৮.০০ঘটিকার আশেপাশে

৫. এমবিবিএস পাশের পর থেকে ২ বছরের ব্যবধান থাকতে হবে।
( ব্যাখ্যা : ইন্টার্ন প্রশিক্ষণের পরে ১ বছরের ব্যবধান থাকলেই হবে)

৬. রেসিডেন্সি সেশন শুরু হয় মার্চ মাসের প্রথম তারিখ থেকে। কিন্তু পরীক্ষা হয় আগের বছরের নভেম্বর মাসে।
তাই কারো ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ শেষ হতে হবে অবশ্যই আগের বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি বা তার আগে। উদাহরণ : ধরুন কেউ আগামী ২০২০ সালের মার্চ সেশনের রেসিডেন্সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক,  তাহলে তাহাকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করতে হবে।  তাহলেই ২ বছরের ব্যবধান শর্তটা মিলবে।

৭. ডিপ্লোমা/ ননরেসিডেন্সি সেশন শুরু হয় প্রতি বছর জুলাই মাসের ১ম তারিখ থেকে। আর পরীক্ষা হয় অই বছরের মার্চের ১ম/২য় সপ্তাহে। কেউ যদি এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চায় তাহলে তাহাকে আগের বছরের ৩০ জুনের মধ্যে ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ শেষ করতে হবে।
উদাহরণ : কেউ যদি ২০১৯ সালের ডিপ্লোমা সেশনে অংশগ্রহণ করতে চায় তাহলে তাহাকে ২০১৮ সালের জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করতে হবে।

৮. কেউ যদি বিএসএমএমইউ থেকে অন্য কোন ডিগ্রি কমপ্লিট করে থাকেন তাহলে তাকে ১ সেশনের বিরতি দিয়ে পরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
উদাহরণ  কেউ জুলাই/২০১৮ সেশনে  ডিপ্লোমা/ এম ফিল/ এমডি/ এমএস পাশ করেছেন।  তাহলে সেই কৃতি চিকিৎসককে পরের জুলাই সেশন পরবর্তী সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সব সেশনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

৯. কেউ যদি কোর্সে ভর্তি হয়ে কোর্স ছেড়ে দেন বা কোন কারণে কোর্স বাতিল হয়ে যায়/ বাতিল করে ফেলেন তাহলে পরবর্তী ১ বছর পরে আবার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্য হবেন। উদাহরণ : কেউ জুলাই/২০১৮ সেশনে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হয়ে ৩মাসের মাথায় কোর্স বাতিল করেছেন তারা ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে আবার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্য হবেন।
( ব্যতিক্রম আছে : কেউ যদি কোর্স ছেড়ে দিয়ে ব্যাসিক এন্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স ফ্যাকাল্টির কোন সাবজেক্ট এ ভর্তি পরীক্ষা দিতে চায় তাহলে তাদের জন্য প্রমোর্জনা দেয়া হবে অর্থাৎ তারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন।)

১০. #সরকারি প্রার্থী : বিসিএস বা এডহোক ভাবে নিয়োজিত সরকারি চাকরিরত প্রার্থী।
বিএসএমএমইউ প্রার্থী : যারা BSMMUতে চাকরি করেন
বেসরকারি প্রার্থী : উপরের দুটি গ্রুপ ছাড়া অবশিষ্ট সবাই এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক।

১০. বিএসএমএমইউ প্রার্থীরা শুধুমাত্র বিএসএমএমইউ তে যেসব সাবজেক্ট আছে সেসব এবং শুধুমাত্র বিএসএমএমইউ তে চয়েস দিতে পারেন।

১১. সরকারি প্রার্থীরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমুহে চয়েজ দিতে পারেন না ( খাজা ইউনুছ আলি মেডিকেল কলেজ, বারডেম একাডেমী , ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল,  বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব চাইল্ড হেলথ (BICH), চট্টগ্রাম মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতাল ইন্সটিটিউট,  ইন্সটিটিউট অব কমিউনিটি অপথ্যালমলজি, চট্টগ্রাম   এসব হচ্ছে  বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে রেসিডেন্সি কোর্স এবং ডিপ্লোমা কোর্স চালু আছে)

১২. বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত পার্থীরা সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে চয়েজ দিতে পারেন।

১৩. #মনোনীত চিকিৎসকদের ভর্তি ফি: ( রেসিডেন্সি  ফেইজ A এবং ডিপ্লোমা/ MPH/M PHILL/ M Med)  সকল ক্ষেত্রে
বিএসএমএমইউ সকল প্রার্থী : ৪৫০০০ টাকা।
মেডিকেল কলেজ : সরকারি প্রার্থী : ১০০০০ টাকা। বেসরকারি প্রার্থী : ৩০০০০-৫০০০০ টাকা
ইন্সটিটিউট: সরকারি প্রার্থী : ১০০০০টাকা।  বেসরকারি পার্থী: ৫০০০০-৭০০০০ টাকা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ : ৫০০০০ থেকে ৭০০০০ টাকা।
( টাকার পরিমাণ আনুমানিক ; কম বেশ হতে পারে)
রেসিডেন্সি ফেইজ বি এর জন্য আবার নতুন করে প্রায় একই পরিমাণ ফি দিতে হয়। শুধু প্রার্থক্য হচ্ছে যারা বেসরকারি থেকে সরকারি চাকরিজীবী হয়ে যাবেন তাদের আর বেসরকারি প্রার্থীদের মত ফি দিতে হবে না!

১৪. ♥ #রেসিডেন্সি_পরীক্ষা_পদ্ধতি: ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক।
রেসিডেন্সি পরীক্ষা ৫টি ফ্যাকাল্টির মাধ্যমে হয়। মোট সাবজেক্ট ৬২টি। আসন সব মিলে প্রায় ১১৫০টি।

ক. ফ্যাকাল্টি অব ব্যাসিক সাইন্স এন্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স: ৮টি সাবজেক্ট।
MS: Anatomy
MD: Biochemistry
MD: Physiology
MD: Pharmacology
MD: Virology
MD: Laboratory Medicine
এই ৬টি সাবজেক্ট এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র বিএসএমএমইউ তে আছে।

MD: Pathology
MD: Microbiolgy
এই দুটি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে আছে।

খ. ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন: MD: ২০টি সাবজেক্ট। 
MD: Cardiology
MD: Dermatology & Venerology
MD: Gastroenterology
MD: Endocrinology  & Metabolism
MD: Heamatology
MD: Internal Medicine
MD: Nephrology
MD: Neurology
MD: Oncolgy
MD: Pulmonology
MD: Physical Medicine & Rehabilitation
MD: Transfusion Medicine
MD: Psychiatry
উপরের এই  সাবজেক্ট গুলো একাধিক প্রতিষ্ঠানে আছে।

MD: Child & Adolescent Psychiatry
MD: Radiation Oncology
MD: Medical Oncology
MD: Rheumatology
MD: Palliative Medicine
MD: Nuclear Medicine
MD: Rheumatology
এই সাবজেক্ট গুলো শুধুমাত্র ১টি প্রতিষ্ঠানেই আছে।

গ. ফ্যাকাল্টি অব পেডিয়্যাট্রিক্স: MD: ৭টি সাবজেক্ট। 
MD: Paediatrics
MD: Neonatalogy
MD: Paed. Nephrology
এই ৩টি বিষয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আছে।

MD: Paed. Gastroenterology
MD: Paed. Cardiology
MD: Paed. Heamatology & Oncology
MD: Paed. Neurology & Neurodevelopment
এই বিষয়গুলো শুধুমাত্র BSMMUতে আছে।

ঘ. ফ্যাকাল্টি অব সার্জারি: MS/ MD মোট সাবজেক্ট : ২২টি
MD: Anaesthesiology
MD: Critical Care Medicine
MD: Radiology & Imaging

এই ৩টি বিষয়ে MDহলেও এটা সার্জারি ফ্যাকাল্টির ব্রাঞ্চ। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সার্জারি ফ্যাকাল্টির মত।

MS: General Surgery
MS: Neurosurgery
MS: Obstetrics & Gynaecology
MS: Opthalmology
MS: Orthopedic Surgery
MS: Otolaryngology
MS: Urology
MS: Plastic Surgery
MS: Paedi Surgery
MS: Surgical Oncology
MS: Cardiovascular & Thoracic Surgery
এই সাবজেক্ট গুলো একাধিক প্রতিষ্ঠানে আছে।

MS:  Community Opthalmology
MS: Hepatobiliary Surgery
MS: Vascular surgery
MS: Colorectal surgery
MS: Fetomaternal Medicine
MS: Gynaecological Oncology
MS: Reproductive Endocrinology & Infertility
এই ৭টি সাবজেক্ট শুধুমাত্র  BSMMU তে আছে।

MS: Thoracic Surgery
এই সাবজেক্ট শুধুমাত্র NIDCH এ আছে।

ঙ. ফ্যাকাল্টি অব ডেন্টিস্ট্রি: MS: ৫টি সাবজেক্ট।
MS: Oral & Maxilofacial Surgery
MS: Orthodontics
এই ২টি দুইটি প্রতিষ্ঠানে আছে

MS: Conservative Dentistry & Endodontics
MS: Prosthodontics
MS: Pedo dontics
এই বিষয়গুলো শুধুমাত্র  BSMMU তে আছে।

১৫. রেসিডেন্সি পরীক্ষার মার্ক বণ্টন : সব ফ্যাকাল্টির জন্য ১৭০ মার্ক কমন।
মার্ক বণ্টন প্রায় এরকম :(প্রতিবছর কমবেশ হয়)
Anatomy: 30
Physiology & Biochemistry : 40 -45
Pathology : 30
Microbiolgy: 30
Pharmacology: 25
Heamatology & Immunology: 10-15

অবশিষ্ট ৩০ মার্ক ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক।

♠ মেডিসিন ফ্যাকাল্টির ইন্টারনাল মেডিসিন থেকে ৩০ মার্ক।

♠ সার্জারি ফ্যাকাল্টির জন্য ( EYE/ ENT/ Ortho/ Obs & Gynae / General Surgery) এর বিভিন্ন ব্রাঞ্চ থেকে ৩০টি প্রশ্ন।

♠ পেডিয়্যাট্রিক্স ফ্যাকাল্টির জন্য এখনো আলাদাভাবে প্রশ্ন হয় নি। আগামী সেশন থেকে শুরু হলেও হতে পারে। ( একইভাবে আগেরমতই হবে;  ৩০ মার্ক পেডিয়্যাট্রিক্স থেকেই হতে পারে আবার মেডিসিনের মত ও হতে পারে)

♠ ফ্যাকাল্টি অব ডেন্ট্রিস্টি: ডেন্টিস্ট্রি থেকে ৩০টি প্রশ্ন।

♠ ফ্যাকাল্টি অব ব্যাসিক সাইন্স  এন্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স : ১০টি প্রশ্ন ইন্টারনাল মেডিসিন থেকে।  অবশিষ্ট ২০টি প্রশ্ন Pathology,  Microbiology, Physiology & Pharmacology থেকেই অতিরিক্ত ভাবে হবে।

১৬ ♥ #ডিপ্লোমা_পরীক্ষা:
এটা ও ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক পরীক্ষা !  ৫টি ফ্যাকাল্টিতে মোট সাবজেক্ট  ৩০টি। আসন সব মিলিয়ে প্রায় ১১০০ এর মতো।

ক. ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন: সাবজেক্ট ৭টি। (ডিপ্লোমা):
DBST (Blood, serology & transfusion)
D Card
DCH
DFM (Forensic Medicine)
DTCD (Tuberculosis & chest disease)
DDV
DEM (Endocrinology & Metabolism)

খ. ফ্যাকাল্টি অব সার্জারি: ডিপ্লোমা সাবজেক্ট ৬টি।
D Ortho
DLO
DA
DO
DCO (Community opthalmology)
DGO

গ. ফ্যাকাল্টি অব ডেন্টিস্ট্রি : ডিপ্লোমা  সাবজেক্ট ১টি।
ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল সার্জারি  (DDS)

ঘ. ফ্যাকাল্টি অব বেসিক সাইন্স এন্ড প্যারাক্লিনিকেল সাইন্স: (M Phill/ M Med/ Diploma) মোট সাবজেক্ট ৭টি।
M Phill : Anatomy/ Physiology / Biochemistry/ Microbiology/ Pharmacology
M Med: Medical Education
Diploma: Laboratory Medicine

ঙ. Faculty of Preventive & Social Medicine: MPH/ M Phill : ৯টি সাবজেক্ট।  বেসরকারি চাকরিতে বেশি চাহিদা দুটিতে
১. Hospital Management
২. Epidemiology

১৭. ডিপ্লোমা পরীক্ষার মার্ক বণ্টন : সব ফ্যাকাল্টির জন্য ৮০ মার্ক কমন।
মার্ক বণ্টন প্রায় এরকম :(প্রতিবছর কমবেশ হয়)
Anatomy: 10
Physiology & Biochemistry : 20
Pathology : 15
Microbiolgy: 15
Pharmacology: 15
Heamatology & Immunology: 5

অবশিষ্ট ২০ মার্ক ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক।

♠ মেডিসিন ফ্যাকাল্টির জন্য ইন্টারনাল মেডিসিন থেকে ২০ মার্ক।

♠ সার্জারি ফ্যাকাল্টির জন্য ( EYE/ ENT/ Ortho/ Obs & Gynae / General Surgery) এর বিভিন্ন ব্রাঞ্চ থেকে ২০টি প্রশ্ন।

♠ ফ্যাকাল্টি অব ডেন্ট্রিস্টি: ডেন্টিস্ট্রি থেকে ২০টি প্রশ্ন।

♠ ফ্যাকাল্টি অব ব্যাসিক সাইন্স  এন্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স : ৫টি প্রশ্ন ইন্টারনাল মেডিসিন থেকে।  অবশিষ্ট ১৫টি প্রশ্ন Pathology,  Microbiology, Physiology & Pharmacology থেকেই অতিরিক্ত ভাবে হবে।

♣ Faculty of Preventive & Social Medicine : কমিউনিটি মেডিসিন থেকে ২০টি প্রশ্ন হবে।

১৮. #প্রশ্ন_কি_রকম_হয়?
 Anatomy  ব্যতীত  অবশিষ্ট সকল বিষয়ের ৮৫% প্রশ্নের টপিকস রিপিট হয়। সুতরাং বুজতেই পারতেছেন কি পড়তে হবে।
আর হুবহু রিপিট হয় প্রায় ১৫-২০টি প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রতিটি পরীক্ষায় তার ঠিক আগের পরীক্ষার ১০-১৫টি প্রশ্ন হুবহু রিপিট হয়।
Anatomy প্রায় প্রতিবারই ৭৫% প্রশ্ন নতুন হয়।
( ব্যাখ্যা :  ক. টপিকস রিপিট মানে আগে একটি প্রশ্ন আসছে।  এবার আবার যখন আসবে তখন ২বা ৩টি স্টিম রিপিট হবে,  ২ বা ৩টি স্টিম নতুনভাবে দিবে। (সেজন্য টপিকসের উপর ক্লিয়ার কনসেপ্টশন প্রয়োজন
খ.  আগামী জুলাই সেশনের ডিপ্লোমা পরীক্ষায় রেসিডেন্সি সেশনের ১০-১৫ টি প্রশ্ন হুবহু রিপিট হবে। ঠিক তেমনি ২০২০ সালের রেসিডেন্সি পরীক্ষায় আগের সেশনের  ডিপ্লোমা এবং রেসিডেন্সি মিলিয়ে ১৫-২০টি প্রশ্ন হুবহু রিপিট হবে )

১৯. রেসিডেন্সি এবং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় #নেগেটিভ_মার্কিং আছে।
π প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ০.২০ মার্ক।
১টি প্রশ্নের ৫টি সঠিক স্টিমের জন্য ১মার্ক।
π প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.০৫ মার্ক কাটা যাবে। এরকম ২০টি স্টিমের ভুল উত্তরের জন্য ১ মার্ক কাটা যাবে।

সুতরাং নেগেটিভ মার্ক নগণ্য।  নেগেটিভ মার্কের ভয়ে না দাগিয়ে আসবেন না।
যদি কিছু না পারেন ৫টিই True অথবা ৫টিই false দাগিয়ে আসুন। তাহলে ১টি সঠিক হলেই আপনার কোন নাম্বার কাটা যাবে না। আর এর বেশি সঠিক হলেই বোনাস নাম্বার। 

π ৫টিই True অথবা ৫টি false এরকম প্রশ্নের সংখ্যা খুবই নগণ্য হবে সন্দেহ নেই।
π না দাগিয়ে আসলে কিছুই হবে না।
π দয়া করে প্রশ্নের সিরিয়াল ভুল করবেননা।  আল্লাহ না করুক, যদি হয় অইবারের মত শেষ।
π রোল নাম্বার সঠিক ভাবে বল পয়েন্ট কলম দিয়ে পুরন করবেন। 

২০. #সাবজেক্ট_চয়েস এবং চান্স পাওয়ার সম্ভাব্যতা :
♦ যেসব সাবজেক্ট মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানে আছে সেসবে চান্স পাওয়া কঠিন।  কারণ আসন মাত্র ২-৩টি। ৩জন প্রার্থী ভাল প্রস্তুতি নিলেই আপনি বাদ পড়বেন। আর আপনি যদি হোন সেই ৩জনের একজন তাহলে তো আর কথাই নেই।
♦ যেসব সাবজেক্ট বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে আছে সেসবের ক্ষেত্রে পেরিফেরি প্রতিষ্ঠানে চয়েস দিলে চান্স পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন না সেখানে চয়েস না দেয়াই ভাল। (অযথা আসন নষ্ট করলে এর পাপ একদিন না একদিন পাবেনই।!)

♦মুলকথা হচ্ছে BSMMU & DMCH এ পাশের হার বেশি। আর পেরিফেরিতে কাজ শেখার হার বেশি। ( আপনিই সিদ্ধান্ত নেন কোনটি বাছাই করবেন)। এটা অবশ্যই সার্জারি ফ্যাকাল্টির ক্ষেত্রে আরো বেশিই সত্যি।

২১. রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে মাত্র ১টি ফ্যাকাল্টি তে  ১টি সাবজেক্টে পরীক্ষা দেয়া যায়।  প্রতিষ্ঠান চয়েস সর্বোচ্চ ৩টি দেয়া যায়। আর কেউ যদি এর কম প্রতিষ্ঠান দিতে চায় তাহলে সেটা ফরম ফিল আপের সময় দেখতে পারেন ১টি বা ২টি চয়েস দেয়ার পরে অনলাইন এ ফরম ফরোয়ার্ডিং হয় কিনা! যদি হয় তাহলে ত হলই, আর না হলে আপনাকে ৩টিই পুরণ করতে হবে।

২২. #ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে একই সাথে দুটি ফ্যাকাল্টিতে পরীক্ষা দেয়া যায়।
১টি ফ্যাকাল্টি হচ্ছে Faculty of Preventive & Social Medicine
আর অপর ৪টি ফ্যাকাল্টির মধ্যে যেকোন ১টি ফ্যাকাল্টিতে পরীক্ষা দিতে পারবেন।
এজন্য আপনাকে  ৫০০০ টাকা করে দুই বার টাকা জমা দিতে হবে। (মোট ১০০০০ টাকা)
Faculty of Preventive & Social Medicine এর পরীক্ষা সাধারণত বিকেলেই হয় আর সকালবেলা হয় অপর ৪টি ফ্যাকাল্টির পরীক্ষা।

♦ টাকা জমা দিতে হয় শুধুমাত্র পুবালি ব্যাংকে।

( ব্যাখ্যা: MBBS ডিগ্রিধারীরা ফ্যাকাল্টি অব ডেন্টিস্ট্রি বাদে সব ফ্যাকাল্টিতেই ফরম ফিল আপ করতে  পারবেন। কিন্তু ৩টি ফ্যাকাল্টিতে একসাথে পরীক্ষা হওয়াতে পরীক্ষা দিতে পারবেন ১টিতে।)

২৪. সরকারি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কমন সাবজেক্টে উচ্চতর ডিগ্র অর্জন করা উচিৎ।  কারণ প্রমোশন কমন সাবজেক্ট এ বেশি।  দুর্লভ সাবজেক্ট এ প্রমোশন পদ কম।

২৫. বেসরকারি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল সাবজেক্ট এ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চাইলে আগে ডিপ্লোমা করুন। কারণ ২বছর দেখতে দেখতে চলে যাবে আর বিসিএস এর পুরো প্রসিডিউর শেষ হতে  আড়াই থেকে ৩বছর লেগে যায়। MS/MD/ FCPS করুন বিসিএস দিয়ে।  সরকারি চাকরিতে যোগদান করে।

আর বেসিক সাইন্স এবং প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্সে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চাইলে MD/ MS হওয়া উচিৎ প্রথম পছন্দ।  (M Phill  হবে ২য় পছন্দ)

২৬. বেসিক সাইন্স এন্ড প্যারাক্লিনক্যাল সাইন্সে উচ্চতর ডিগ্রি নিলে সরকারি চাকরিতে প্রমোশন হবে তড়তড় করে! আর উপজেলা লেভেলে থাকার বাধ্যবাধকতা ও থাকবে শীতলীকৃত।
সাথে পাচ্ছেন জিপি প্র‍্যাক্টিস করার অবারিত সুযোগ।  নেই ইমার্জেন্সি আর রাত্রিকালীন ডিউটির বাধ্যবাধকতা। 
আর সাথে যদি উল্ট্রাসনো আর রেডিওলোজীর হাতে খড়ি ভালই থাকে তাহলে পেরিফেরিতে নগদ নারায়ণের কোন অভাব হবে না।

২৭. অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে যাদের পিছুটান নেই  ক্লিনিক্যাল সাবজেক্ট এ তাদের জন্য ডিপ্লোমা না করে রেসিডেন্সির পিছনে অথবা FCPS এর জন্য দৌড়া উচিৎ।

২৮. যারা বেশি পড়াশুনা করতে চান না মানে অল্পতে তুষ্ট ; তাদের জন্য ক্লিনিক্যাল সাবজেক্ট এ ডিপ্লোমা করাই যথেষ্ট। 
এটা দিয়েই খেতে পারবেন, চলতে পারবেন, দান খয়রাত করতে পারবেন।
কারণ MBBS হচ্ছে ব্যাসিক ডিগ্রি,  বাকি সব অলংকার।  অলংকার ছাড়া ও জীবন চলে!

২৯. এবার আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য :
আপনাদের অনেকেই দেশের অনেক উপরের কর্তাব্যক্তি হবেন, অনেকেই অলরেডি কর্তাব্যক্তি হয়ে আছেন; অনেকের আত্নীয় স্বজন, পরিবারের সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উপর লেভেলের সদস্য হিসেবে আছেন। সবার কাছে অভিন্ন অনুরোধ।
আমাদের দেশের চিকিৎসকদের জন্য কিছু করুন। কিছু না পারুক অন্ততপক্ষে কারো কোন ক্ষতি যাতে না করেন।
কী করতে হবে?:

ক. সারা বিশ্বে আমাদের দেশের MS/MD/ FCPS ডিগ্রিরর রিকগনিশন করার জন্য কাজ করুন। তাহলে আমাদের আলাদা করে  MRCP/ MRCS /PLAB/ AMC/ USMLE  এগুলো না করেই সেসব দেশের জব মার্কেটে ঢুকতে পারবো। 

খ. রেসিডেন্সি এবং ডিপ্লোমা পরীক্ষা ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক এবং  ফলাফল ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক কেন্দ্রীয় মেধা তালিকা এবং অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়ন করার জোড় দাবি জানান।
( সাবজেক্ট ভিত্তিক ফলাফল এবং সাবজেক্ট ভিত্তিক পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানান)

গ. চিকিৎসক দের নায্য দাবী আদায়ে বিভক্ত না হয়ে অবিভক্ত BMAএর আওয়াজ তুলি।

ঘ. সরকারি চিকিৎসক দের জন্য বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন কে শক্তিশালী করার ব্যবস্থা করুন।

ঙ. BCPS তাদের সিলেবাস ও পরীক্ষার মান বণ্টন প্রণয়ন সহ স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন করার ব্যবস্থা করুন। ( অর্ধেকের চেয়ে বেশি বিষয়ের আছে, বাকীগুলোর করার ব্যবস্থা করুন।)

চ. প্রতিটি জেলা শহরে চিকিৎসক দের থাকার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করুন।
( হোটেলে হোটেলে সব ধরনের মানুষের সাথে থাকার মত যোগ্যতা আমাদের নেই)
( সব তথ্য রেসিডেন্সি মার্চ/২০১৯ পর্যন্ত তথ্যের আলোকে)

( অনেক লম্বা লিখা! কেউ বিরক্ত হবেন না প্লিজ! ভাল না লাগলে এড়িয়ে যান)

ডাঃ নুরুল আমিন চৌধুরী
রমেক ২০০৫-২০০৬
রেসিডেন্ট, নাক কান ও গলা সার্জারি বিভাগ,  মার্চ/২০১৯ ,