Engym induction & inhibition

#এনজাইম_ইণ্ডাকশন আর #এনজাইম_ইনহিবিশন

ফার্মাকোলজিতে যে জিনিসটা সবচে প্যাচ লাগতো সেইটা এনজাইম ইন্ডাকশন আর ইনহিবিশন, তাই একটা গল্প বানাইসিলাম নাম ছিলো - "লুচ্চা ভাই "

আমরা জানি যে ড্রাগ খেলে তা এবসর্পশন হয়ে রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন টার্গেট অর্গানে যাবে, টার্গেট অর্গানে গেলে ড্রাগ তার নিজস্ব ফার্মাকোলজিকাল কাজ শেষে কিন্তু চুপচাপ বসে থাকবে না, সে তখন এক্সক্রিশন হবার জন্য রেডি হবে, এই রেডী হতে হলে তাকে দুইটা জায়গায় যেতে হবে, একটা লিভার আরেকটা কিডনী, ড্রাগ তখন ব্লাডের মাধ্যমে লিভার আর কিডনীতে যাওয়া শুরু করবে,

লিভারে গিয়ে ড্রাগগুলা বিভিন্ন উপায়ে এমনভাবে কেমিক্যালি মডিফাই হবে যাতে সে কিডনী দিয়ে সহজে বের হয়ে যেতে পারে (ওয়াটার সল্যুবল হবে, আয়নাইজড হবে), কেমিক্যালি মডিফাই হবার এই প্রক্রিয়াকে #বায়োট্রান্সফরমেশন বা #মেটাবলিজম বলে, অর্থাৎ লিভারে গিয়ে ড্রাগ বায়োট্রান্সফার হয়ে হাগু-মুতুর মাধ্যমে বের হবার জন্য রেডী হবে - এতটূকু হলো বেসিক বিদ্যা

এবার আসি বায়োট্রান্সফরমেশনের গভীরে, ড্রাগগুলোকে কেমিক্যালি মডিফাই করার জন্য লিভারে বিভিন্ন মেশিন থাকে আর থাকে এনজাইম -এগুলোর মাধ্যমে    লিভার ড্রাগকে দলাই মলাই করে এমন সিচুয়েশন করে যাতে ড্রাগ বেচারা বাইল/কিডনী দিয়ে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয় ( টাইমমতো বের না হলে একটা সেডিল খাইলে ১ মাস ঘুমানি লাগবে 😆😆😆)

এইসব এনজাইমের মধ্যে আছে সাইটোক্রোম পি - ৪৫০ অক্সিডেজ, সালফেটেজ, গ্লুকোরনডাইয়েজ ইত্যাদি, এরমধ্যে Cyt P- 450 টা বেশি এক্টিভ এবং সে হলো ড্রাগকে সাইজ করার বড় ভাই, বড় ভাইরা সাধারণত একটু ডমিনেন্ট টাইপের হয়, উনিও এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন, সব ড্রাগকেই উনি সাইজ করেন 😎😎😎

ভাই আবার একটু লুচু টাইপেরও, #আইফোন আর #কারওয়ালা সুন্দরীদের প্রতি উনার বিশেষ দুর্বলতা আছে, সুন্দরী ড্রাগ যদি লিভারে আসে তাহলে উনি তাকে ইমপ্রেস করার জন্য উনার কাজ বাড়িয়ে দেন, কিন্তু ভোম্বলটা বুঝে না যে এতে করে সে সুন্দ্রীকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে 👎👎 তার এক্সট্রা এক্টিভিটির জন্য সুন্দরী ড্রাগগুলো তো জলদি জলদি বের হচ্ছেই সাথে তার সখী অন্য ড্রাগ থাকলে সেগুলোও বের হয়ে যাচ্ছে 😭😭😭 ফলাফল ড্রাগগুলো দ্রুত মেটাবলাইজ হয়ে যাচ্ছে, শরীরে ঔষধ বেশিক্ষণ থাকতে পারছে না, P-450 oxidase এর অতিউৎসাহী কর্মকান্ডের জন্য ফার্মাকোলজিকাল ইফেক্ট হবার আগেই ব্লাডে ড্রাগ কনসেন্ট্রেশন ড্রপ করছে।

অর্থাৎ #এনি_ড্রাগ_ফেইল_টু_প্রডিউস_ইটস_ডিজায়ারড_ইফেক্ট, এই ঘটনাটার নামই হলো #এনজাইম_ইনডাকশন (কারণ এখানে P-450 ইন্ডাক্ট হচ্ছে মানে এক্টিভিটি বাড়াই দিয়ে ড্রাগকে শরীর বের করে দিচ্ছে)

সুন্দ্রী ড্রাগগুলো হলো আসল নষ্টা, এগুলার কারণেই বড়ভাই P-450 এর মাথা বিগড়ে যায় আর উনি পণ্ডিতি করে সব ড্রাগ শরীর থেকে বের করে দেন, সুন্দরী ড্রাগগুলোর নামগুলা তাই ভালোমতো মনে রাখতে হবে কারণ এরাই এনজাইম ইন্ডাকশনের জন্য দায়ী, অর্থাৎ এরাই এনজাইম ইন্ডাক্টর, সুন্দ্রীদের নাম মনে রাখার সূত্র হলো = [ GPRS PhoNe At Car ] >> ছবি দেখুন

***----*****

ঠিক উলটা ঘটনা ঘটে #এনজাইম_ইনহিবিশনের সময়, বিশ্রী মেয়ে দেখলে বড়ভাই Cyt P-450 মনের দু:খে #সিকফেস হয়ে কাজ করা বন্ধ করে দেন, ফলে ড্রাগগুলা লিভারে এসে বসে থাকে, ব্লাডে ড্রাগের কনসেন্ট্রেশন বাড়তে থাকে, বাড়তে বাড়তে একসময় #টক্সিসিটি ডেভোলাপ করে , ব্লাডে ড্রাগ জমে জমে শরীরের চৌদ্দটা বাজাই দেয় - এই ঘটনাই হলো #এনজাইম_ইনহিবিশন এবং এটার জন্য দায়ী বিশ্রী মেয়েগুলোর প্রতিশোধপরায়ণতা😈😈😈। কারণ বড়ভাই P-450 যদি ওদের ইগ্নোর না করে তার কাজ বন্ধ না করতো তাহলে ওরা এরকম প্রতিশোধ নিতো না 😒😒😒 শরীরেও টক্সিসিটি ডেভোলাপ করতো না।

কাজেই অইসব বিচ্ছু মেয়ে ড্রাগগুলোকেও আমাদের মনে রাখতে হবে যাদের উপস্থিতিতে বড়ভাই P-450 ঝিম মেরে বসে থাকেন, কাজকর্ম বাদ দিয়ে গাঞ্জা টানেন, ওদের দেখলেই বড়ভাইয়ের যেহেতু সিকফেস হয়ে যায়, তাই ওদের মনে রাখার সূত্র হলো =[ SICKFACES.COM ] >>> ছবি দেখুন

[মর‍্যাল অফ দ্য স্টোরি = নেভার মেস উইদ গার্লস, স্পেশালী নেভার এভার ইগ্নোর দেম, নাইলে লাইফ টক্সিক হয়ে যাবে😹😹😹]