Cronic liver disease

#পার্বতী_দেবদাস_এবং_Chronic_Liver_Disease💏

🧔🏻: কেমন আছো পারু!

👩🏻: একি দেব দা!😢একি হাল করেছো নিজের?হাত পা সব ফোলা,পেটে পানিও এসেছে নাকি?

🧔🏻: সব তোর জন্য রে পারু!!তোকে যে ভুলতে পারিনা🤤

👩🏻: ছি ছি দেব দা!!😵তুমি মদ খেয়েছো?এই অবস্থা হলো কি করে?খুলে বলো!

🧔🏻: আর কি খুলে বলবো,কুহকিনী? 👹আমাকে ছেড়ে BCS হওয়া ছেলে টাকে বিয়ে করলি!☹️এই দিকে মদ আমার লিভারে গিয়ে #Hepatocyte,kuffer cell এই গুলো কে Damage করেছে!তারা রাগ করে আবার secrete করেছে #interleukin !

👩🏻: কি আব জাব বলছো দেব দা!

🧔🏻: তারপর সেই interleukin activate করছে এক স্পেশাল cell কে!যার নাম #Stellate_cell !

👩🏻: মা গো মা! সেটা আবার কি করে?

🧔🏻: stellate cell activate হয়ে ক্ষরণ করে  (TGF-B) এবং PDGF !যাদের কাজ হলো #collagen_synthesis বাড়িয়ে দেয়া এবং collagen breakdown prevent করা!মানে লিভারে কোলাজেন tissue এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া!

👩🏻: মাগো মা!!ছ্যাকা খেয়ে কত পড়াটাই না পড়ছো গো!তারপর?

🧔🏻: তারপর আর কিরে পারু! কোলাজেন আমার লিভার টাকে চারদিক থেকে চেপে ধরে একদম ছোট আর এবড়ো থেবড়ো করে ফেলেছ!জানিস!এটাকেই #Cirrhosis বলে!ওদিকে Stellate cell আবার #Endothelin 1 ও ক্ষরন করে যেটা #portal_vasoconstriction করে!এর জন্যই #portal_Hypertension হয়!😨

👩🏻: আহা!পানি আসলো কিভাবে গায়ে?

🧔🏻: অই যে portal Hypertension !যেটার কারনে Blood সামনে যেতে পারছে না! Back flow হয়ে #peritonium এ leak হচ্ছে!!আর আমার পেটে পানি জমে হচ্ছে #Ascites 😪

👩🏻: আচ্ছা রাখো সে সব কথা! সামনের বছর আমার ছোট ছেলের অন্নপ্রাসন্ন(মুখে ভাত)!আসবে কিন্তু!

🧔🏻: তা আর বোধ হয় হবে না রে পারু!আমার পেটে ব্যাথা করে!মনে হয় #Bacterial_peritonitis !তুই তো জানিস,এটা হলে মানুষ আর এক বছরের বেশি বাচে না!যাই রে পারু!ভাল থাকিস!😥

👩🏻: একি বলছো দেব দা?😭 ঠিক আছে যাবার আগে আমার হাতে আগের মতো আদর করে একটা তারা একে দিয়ে যাও!

🧔🏻: হাত দে!আকাচ্ছি!!

👩🏻: এটা কি আকালে দেব দা!🤪তারার মতো তো মনেই হচ্ছে না!

🧔🏻: #Hepatic_encephalopathy তে এমন হয় রে পাগলী!যাই ! ভাল থাকিস!
এরপর দেবদাস বমি 🤮করতে করতে পারুর গায়ে লুটিয়ে পরলো!পারু লক্ষ্য করলো বমির রং black coffee এর মতো! দেবদাস #Rupture_of_the_esophageal varices বলতে বলতে চিরতরে চোখ বুজলো😑!

(#শরৎচন্দ্র_চট্টোপাধ্যায় এই ৪ টা লাইন দিয়ে #দেবদাস উপন্যাস টি শেষ করেন)

#মরণে ক্ষতি নাই, কিন্তু সে সময়ে যেন একটি স্নেহ-করস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে—যেন একটিও করুণার্দ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়। মরিবার সময় যেন কাহারও এক ফোঁটা চোখের জল দেখিয়া সে মরিতে পারে।